সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে দারাজ এই বিশ্বকাপে প্রতিটি গোলের জন্য একটি শিশুর পাশে দাঁড়াবে; পাশাপাশি, অন্যদেরও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতে প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ডোনেশন প্ল্যাটফর্ম ‘দারাজ ডোনেটস’ উন্মোচন করেছে।
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) পরিসরে ‘দারাজ কেয়ারস’ এর অধীনে ‘এক গোলে ডাবল খুশি’ শীর্ষক এক বিশেষ উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি চলমান বিশ্বকাপে স্কোর হওয়া প্রতিটি গোলের জন্য একটি শিশুর পড়াশোনায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে, এবং তাদের নতুন চালু হওয়া মাল্টি-চ্যারিটি ডোনেশন প্ল্যাটফর্ম ‘দারাজ ডোনেটস’-এ ডোনেট করে প্রতিটি গোলের আনন্দ ভাগ করে নিতে অন্যদের উৎসাহিত করবে।
‘দারাজ কেয়ারস’ মূলত দারাজ বাংলাদেশের একটি সামাজিক প্রয়াস।
যার মূল লক্ষ্য সমাজ ও গোষ্ঠীর উন্নয়নে অবদান রাখা। ‘এক গোলে ডাবল খুশি’ উদ্যোগের আওতায় দারাজ প্রতিটি শিশুকে এক মাসের জন্য শিক্ষা ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে, যাতে তারা জাগো ফাউন্ডেশনের আওতায় নিজেদের পড়াশোনার প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা আরম্ভ করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস (রুশো) বলেন, ‘প্রতি চার বছরে এক বার ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। এই আনন্দকে আরও একটু বাড়িয়ে দিতে এবারে আমরা নিয়ে এসেছি এক গোলে ডাবল খুশি নিয়ে। যার মাধ্যমে গোল যে দলই দিক না কেন বিজয়ী হবো আমরা সবাই। ‘
তিনি বলেন, ‘সিএসআর কার্যক্রমের অধীনে আমরা শিশুদের জন্য এমন কিছু করার চেষ্টা করেছি, যা একই সাথে সবার মাঝে বিশ্বকাপের আনন্দ ও আমেজকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই চিন্তা থেকেই এই বিশ্বকাপের প্রতিটি গোলের আনন্দকে দীর্ঘায়িত করতে দারাজ বাংলাদেশ ভূমিকা রাখছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায়। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো কমিউনিটি ও মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন। সবার সম্মিলিত অবদানেই সে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। ‘দারাজ ডোনেটস’ দেশের প্রথম মাল্টি-চ্যারিটি ডোনেশন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে যে কেউ তাদের ইচ্ছানুযায়ী সামাজিক উদ্যোগে দান করতে পারবেন কোনোরকম সার্ভিস ফি ছাড়াই। ‘
ডোনেট করতে এখানে ক্লিক করুন: (https://tinyurl.com/DarazDonates)
জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ বলেন, ‘ফুটবলপ্রেমীতে ভরা এই দেশে বিশ্বকাপের আনন্দকে আরও উপভোগ করার জন্য সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার চাইতে আনন্দের আর কী হতে পারে? দলগুলো প্রতিপক্ষের জালে যত বেশি গোল দেবে, তত বেশি শিশুদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। আশা করছি এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও অনেকেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসবেন। ‘
বিশ্বকাপের শুরু থেকে ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচে হওয়া মোট গোলের সমপরিমাণ অর্থ ফাইনালের পর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য দান করবে ‘দারাজ কেয়ারস’। জাগো ফাউন্ডেশন এই উদ্যোগের এনজিও পার্টনার, যারা দীর্ঘদিন ধরে ‘স্পন্সর এ চাইল্ড’ শীর্ষক প্রোগ্রামটি সফলভাবে পরিচালনা করে আসছে। পাশাপাশি, দারাজের ডোনেশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অন্যদেরও ডোনেশনও সরাসরি চলে যাবে পার্টনার এনজিওর কাছে।